কেবল ত্বকের যত্ন নিলেই কি সৌন্দর্য ধরে রাখা যায়? সৌন্দর্য রক্ষা পায়
দেহের ভিতর থেকে। আর রূপ ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন পুষ্টিকর খাবার। বেশির ভাগ
মানুষ যেন পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে নারাজ। চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন খাবার
গ্রহণে সৌন্দর্য ধরে রাখা সম্ভব।
পানি: ত্বক ভালো রাখতে হলে নিয়মিত বেশি করে পানি পান করতে
হবে। কারণ পানি ইলেকট্রোলাইটের সমতা রক্ষা করে। নিয়মিত পানি পানে
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয় ফলে ত্বক ভালো থাকে।
টক দই: ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে টকদইয়ের কার্যকারিতা
অনেক বেশি৷ নিয়মিত সালাদের সাথে টক দই খেতে পারেন। এতে ক্যালসিয়াম,
প্রোটিন, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন - বি ২ ও বি- ১২ এবং মিনারেলস আছে।
গ্রিন টি: গ্রিন টি সতেজতা এনে দেয় এবং
চোখের ক্লান্তি ভাব দূর করে। এতে ক্যাটেচিন নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ত্বকের লাবণ্যতা বাড়ায় গ্রিন টি।
কাঠ বাদাম: কাঠ বাদামে ওমেগা ৩ ও ৬, ভিটামিন - ই ও বায়োটিন আছে। নিয়মিত সকালে কাঠবাদাম খেলে ত্বকের সৌন্দর্য বজায় থাকে।
সালাদ: টমেটো ও শশারসালাদ ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন্স, মিনারেলস ও এন্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা তারুণ্যতাবজিয়ে রাখে।
অলিভ ওয়েল: অলিভ ওয়েলে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন ই যা সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে গ্রহণ করলে ত্বক সুন্দর থাকে এবং চুলপড়া বন্ধ হয়।
শাক-সবজি: যেকোনো শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও
মিনারেলস থাকে। বিশেষ করে রঙিন শাক-সবজিতে বেটা ক্যারোটিন নামক
এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেমন - গাজর, লাল শাক, মিষ্টি কুমড়া এবং সবুজ
শাক-সবজিতে ক্লোরোফিল নামক এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যেমন- বরবটি, শিম, ব্রোকলি
ইত্যাদি ত্বকের লাবণ্যতা বাড়িয়ে দেয় এবং তারুণ্যতা বজায় রাখে।
ফল-মূল: যেকোনো ফল-মূল ত্বকের জন্য
ভালো। যেমন - মালটা, পাঁকা পেঁপে, কলা, আমলকী ইত্যাদি। টক জাতীয় ফলে
ভিটামিন-সি আছে যা ত্বকের কাল দাগ, ব্রোন ও বলি রেখা সারিয়ে দেয়।
ডিম: ডিম সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এতে বায়োটিন, ভিটামিন এ, ডি ও ই আছে। যা ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি ঘটায়।
কাঁচা হলুদ: কাঁচা হলুদ ত্বকের
উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে। দুধের সাথে কাঁচা হলুদ নিয়মিত সপ্তাহে দুই-তিন দিন
পান করলে ওজন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়।
এছাড়াও কিছু খাবার আছে যেগুলো ত্বক নষ্ট করে যেমন- দুধ চা, অতিরিক্ত
তৈলাক্ত ও মশলা জাতীয় খাবার, চিনি জাতীয় খাবার, লাল মাংস, অতিরিক্ত ঘি,
রাস্তার ধারে ফুটপাতের খাবার, অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিংকস ইত্যাদি।
লেখক: রুবাইয়া পারভীন রীতি , পুষ্টিবিদ
No comments:
Post a Comment